অসহায়ত্বের কথা
- তাসনিমুর আসিক ১৮-০৫-২০২৪
অসহায় কৃষকের কালিমাখা চোখের কোণে দেখিয়াছি আমি পীড়ন কান্না।
শ্রমিকের ক্ষতে ভরা গাত্রে করুণ রাত্রে চিকিৎসা বিহীন প্রহর গোনা।
শীতের শিহরণে জীর্ণ শিশুটির কাঁপা অঙ্গে ক্ষুধার আলিঙ্গন, একটি টাকার বাহানা।
অসহায় মায়ের দু'খানা হাত পেতে রাজপথে চাইতে একমুঠো অন্ন দানা।
দিনমজুরের প্রতিদিন স্বপ্ন বিহীন, বিষাদের নীল কাব্যে নিয়তির লিখন পাল্টে নির্মম পরিহাসে।
নভশ্চরে ভেসে যায় নিমিষেই বিষাদের সুর, লেখা হয়না কাব্য পাতায়, ইতিহাসে।
অপ্রকাশিত হাজারো কাব্য পড়েনা পাঠক, নড়ে না টনক যায় ভেসে দূর আকাশে।
সাদা কালীতে বিষাদে গাঁথা প্রতিটি জীবনের কবিতা সমাপ্তি ঘটে এক একটি মৃত লাশে।
গরিব ঘরে জন্ম যেনো চির অভিশাপ, আলোহীন প্রতি সকালের রবি।
একমুঠো খাবারের খোঁজে দোরে দোরে ঘুরে সুরে সুরে করে করুণ আকুতি।
বারে বারে চোখ মুছে সয়ে কষ্ট অগোচরে, যত কষ্ট যায় সহা সয়ে যায় সবি।
এক অবয়বে জন্ম সবারই তবু রাজাদের আখ্যানে সুখ কাব্য নির্ধনে অংকিত দুর্বিষহ ছবি।
এতো ধন সম্ভার পৃথিবীর বুকে, ফলে এতো শস্য, এতো সুভাষীত উধ্যান।
তবু অট্টহাসির সাথে শুনি বারি কান্নার সুর, উর্বর ভূমিতে দেখি নিস্তেজ প্রাণ।
সভ্যতা কতোবার জাগিলো হয়নি মানুষের জয়, গড়িতে পাড়েনি সুসভ্যতা কোন বিদ্যান।
একটি ক্ষুধার্ত শিশুর একমুঠো অন্নের আহ্বান যেনো পৃথিবীর সকল সভ্যতার চির কলঙ্কের উপাখ্যান।
মন্তব্য যোগ করুন
কবিতাটির উপর আপনার মন্তব্য জানাতে লগইন করুন।